“রাহি”! ছকে বাঁধা এই সাদাকালো জীবনে রংতুলি, আল্পনার অপর নাম ওর স্পর্শে ইট-কাঠের এই জঙ্গলেও অনুভূত হত সীমাহীন প্রান্তর থেকে ভেসে আসা হিম- শীতল হাওয়া, আর সারাদিনের ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়া সেই আদুরে ডাক। কিছু চাই তার? কৈশোরের অস্ত্র জেদ এবং তার সুনিপুণ ব্যবহার ভালই জানা ছিল ওর। প্রতি সপ্তাহ শেষে অন্তত একবার ঘুরতে যাওয়া চাইই, চাই।
কিন্তু বিধাতার হয়ত লাল রঙের ভীষণ প্রয়োজন পরেছিল সেদিন প্রেসক্লাব মোড়ের পীচ-ঢালা পথে রক্তের বন্যা ছুটেছিল তাই। মাঝেমাঝে মনে হয় এভারেস্টটাও হয়ত একাই সরিয়ে ফেলতে পারব যে কাঁধে বয়ে নিয়ে গেছি আমার দশবৎসরের সন্তানের লাশ, তার চেয়েও কি ভার বেশি এর?
আর সব ছুটির দিনের মত সেদিনও যাত্রা করেছিলাম শিশুপার্কের উদ্দেশ্যে কিন্তু হঠাৎ ব্রেক ফেইল করে আসা এক টর্নেডো তছনছ করে দিল আমার সাজানো রঙিন স্বপ্নকে জ্ঞান হারানোর আগেদেখি বাসের চাকায় থেথলে চ্যাপ্টা হয়ে আছে আমার ছোট্ট রাহির মাথাটা।
তিন মাস থেকে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে ওর মা,কখনো সংজ্ঞায়, কখনোবা সংজ্ঞাহীন, “রাহির” কথা জিজ্ঞেস করে, হাসপাতালেরগুমোটপরিবেশকেকরেতোলেআরওবেদনাময়- শোকাতুর । মাঝেমাঝে মনে হয় শেষ করে দেই এই বন্দি জীবন, চলে যাই “রাহির” কাছে। হাজারোআগুন্তুকেরভীরেওআমায় চিনবে তো, আমায় “বাবা” বলে ডাকবে তো ? বাবা, বাবা, বাবা... হৃদয়টাকে কুঁরেকুঁরে খায় নিয়ত। আর কতকাল হায়েনারা খুবলে খুবলে খাবে আমার ছোট্ট “রাহির” রক্তাক্ত লাশ? আর কতকাল পরাধীন থাকব আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশে? সামান্য কিছুর লালসায় নষ্ট কোন যান রাজপথে না নামালে কি খুব বেশি ক্ষতি হত ? নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চললে আমাদের কি খুব দেরি হয়ে যেত ? যাকে-তাকে গাড়ী চালনার অনুমতি না দিলে কি খুব ক্ষতি হত? হয়ত বেঁচে যেত আমার ছোট্ট “রাহি”,“রাহির” মত অগণিত রঙিন স্বপ্ন।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। একজন কিশোর বালক যার হেসে খেলে বেড়ানোর কথা ছিল হয়ত বিভিন্ন কারণে আমাদের মাঝে থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। তেমনি এক সমস্যার কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি কবিতায়। একজন সন্তান হারানো বাবার কষ্টের চেয়ে আমি আমাদের চারপাশের বিদ্যমান সমস্যাকেই প্রাধান্য দেবার চেষ্টা করেছি।
জোহরা উম্মে হাসান
আর কতকাল হায়েনারা খুবলে খুবলে খাবে আমার ছোট্ট “রাহির” রক্তাক্ত লাশ?
আর কতকাল পরাধীন থাকব আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশে? জাগ্রত বিবেক ! ভাল লাগলো !
অনেক ধন্যবাদ আপু । পেপার- পত্রিকা খুললেই প্রতিদিন এই চিত্র দেখতে হয়। কবে যে এর থেকে মুক্তি পাব সেই আশায় আছি। সচেতনতা বৃদ্ধি করলে হয়ত সমস্যা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। ভালো থাকবেন আপু।
কবি এবং হিমু
অনেক গুলো প্রশ্নের মুখোমুখি হলাম,তারপর উত্তর না দিয়ে পালিয়ে গেলাম।কবিরা হয়ত এমনি।আর কতদিন কত দিন কেবল প্রশ্ন করে যাবো আমরা ??কবিকে ধন্যবাদ,কবিতার জন্য।
প্রশ্নগুলোর উত্তর তো আমারও জানা নেই ভাই। স্বাধীনতার এত কাল পরেও এমন তো হবার কথা ছিলনা ! আগামীর শুভকামনায় রইলাম। পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।